২০০৫ সালের সঙ্গীত বিষয়ক রিয়্যালিটি শো ‘ফেম গুরুকুল’– এ অংশ নিলেন ভারতের মুর্শিদাবাদের তরুণ অরিজিৎ সিং। কিন্তু বাদ পড়ে গেলেন ফাইনাল রাউন্ডে এসে। তাও আবার দর্শক ভোটে তাকে বাদ পড়তে হয়।
সেই অরিজিৎ বছর সাতেক পর জয় করে নিলেন গোটা উপমহাদেশ। যেই শ্রোতাদের কম ভোটের কারণে বাদ পড়েছিলেন অরিজিৎ, সেই শ্রোতাদের কাছেই ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে প্রিয় গায়ক হয়ে যান তিনি।
বলিউডের অন্যতম সেরা ও সফল প্লেব্যাক গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের ক্যারিয়ারের উত্থানটা ঠিক এরকমই। কণ্ঠের যাদুতে বিশ্ব জয় করা এই গায়কের জন্মদিন আজ। ১৯৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অরিজিৎ।
‘ফেম গুরুকুল’ প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়লেও তার মেধা নজরে আসে বলিউডের খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালীর। তিনি অরিজিতকে দিয়ে ‘সাওয়ারিয়া’ সিনেমায় একটি গান করান। কিন্তু গল্পের পরিবর্তন আসায় সেই গানটি আর স্থান পায়নি সিনেমায়।
২০১০ সালের সিকে অরিজিৎ সিং সঙ্গীত পরিচালক প্রীতমের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন। কয়েকটি সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন। সেগুলো অনেকেই পছন্দ করে। কিন্তু একেবারে তারকা পর্যায়ে পৌঁছতে পারছিলেন না তিনি৷ ২০১৩ সালে স্বপ্নের দুয়ার খুলে যায় অরিজিতের জন্য। ‘আশিকি ২’ সিনেমায় ‘তুম হি হো’ গানটি গেয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান৷ এই গান বাতাসের মতো ছড়িয়ে যায় বিভিন্ন দেশে। জিতে নেন সেরা গায়ক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। সেই সঙ্গে বলিউডে নিজের আসন পাক্কা করে নেন অরিজিৎ।
এরপর থেকে কেবল নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পালা। একের পর এক গান করেছেন, আর সেগুলো জায়গা করে নিয়েছে শ্রোতাদের মনে৷ অরিজিতের গাওয়া সিংহভাগ গানই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তার মধ্যে ‘তুম হি হো’, ‘সুরাজ ডুবা হে’, ‘দিল্লিওয়ালি গার্লফ্রেন্ড’, ফির ভি তুমকো চাহুঙ্গা’, ‘লাল ইশক’, ‘আয়াত’, ‘সুনো না সাং মার মার’, ‘মুসকুরানে কি ওয়াজা তুম হো’, ‘চান্না মেরেয়া’, ‘গেরুয়া’, ‘জালিমা’, ‘কাশ্মির মে’, ‘হামারি আধুরি কাহানি’, অন্যতম।