ঈদের আগে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি ব্যবসায়ীরা তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে শপিংমলও মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মার্কেট-শপিংমল খোলা রাখার জন্য যেকোনো শর্ত মেনে নিতে রাজি বলেও জানান একাধিক ব্যবসায়ী।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, শপিং মলও বন্ধ রাখতে বলা হয়। ছুটি বাড়ার সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্যও একই সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
তবে ঈদ-উল ফিতর সামনে রেখে কয়েকটি শর্ত মেনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মার্কেট-শপিং মল খোলা রাখা যাবে বলে সোমবার (০৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কেনাবেচার সময় সামাজিক (পারস্পরিক) দূরত্ব বজায় রাখাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। বড় বড় শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। আর দোকান বন্ধ করতে হবে বিকেল ৫টার মধ্যে।
মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বিষয়ে রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মার্কেট বন্ধ রয়েছে। অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা। ভেবেছিলাম দোকান-পাট, মার্কেট ঈদের আগে আর খুলবে না। কিন্তু সরকারের আজকের সিদ্ধান্তের পর মনে হচ্ছে পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছি। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা দোকান ভাড়ার টাকাটা পর্যন্ত বাসা থেকে আনতে হয়েছে। এখন যেকোনো শর্ত সরকার দিক, আমরা তা মেনে নিয়ে দোকান খুলতে চাই। ঈদের আগে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য সুদিন বয়ে আনতে পারে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
আজ দোকান খোলার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আনন্দ ফিরে এসেছে।
দোকান খোলা হলে সরকারের দেওয়া সব শর্ত বা নির্দেশনা মেনেই দোকান খোলা রাখতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম করা যাবে না। সরকার যেমন দেশের সব জনগণের কথা চিন্তা করে, ক্রেতা বা আমাদের কথাও চিন্তা করেছে, ঠিক তেমনি আমাদেরও সরকারের নির্দেশনাও মেনে চলা উচিত।