সিলেট প্রতিনিধি ::
সাধারণ মানুষের অনীহার কারণে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সিলেটে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে উঠছে। সরাদেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনে চলছেন না বাজরে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষ।
সিলেটে বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরছেন, তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে বা এ ভাইরাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া ঠেকাতে প্রয়োজনীয় এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখাকে নিরাপদ বলে মনে করা হলেও তা না রেখেই দোকানের সামনে ভিড় করছেন।
যদিও সরকার নিয়মিতভাবে মানুষকে সতর্ক থাকার ও সর্বদা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলে আসছে। কিন্তু সরকারের এ নির্দেশনা না মেনে তাদেরকে যেনতেনভাবে ঘোরাফেরা ও কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। এছাড়া কাঁচাবাজার অথবা মাছবাজারের দেয়ালগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য সাধারণ মানুষকে মনে করিয়ে দেয়ার মতো কোনো দেয়ালিকা ও প্রচারণাও দেখা যায়নি।
লোক সমাগম এড়িয়ে চলার ব্যাপারে সরকারের কড়া নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ তাদের এলাকার গলিতে সময় কাটাচ্ছেন হরদম। এদিকে চিকিৎসকরা বারবার বলে আসছেন জনসমাগম এড়ানো সম্ভব না হলে এটি ‘অনেকের মৃত্যুর’ কারণ হবে।
মদিনা মাকের্ট এলাকার এক ওষুধের দোকানের মালিক জানান, তারা ক্রেতাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। তবে সাধারণরা নির্দেশনা মানার ক্ষেত্রে অনীহা দেখাচ্ছেন।
একটি বেসরকারি সংস্থার চাকরিজীবী জানান, আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখার জন্য তিনি সবেমাত্র বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। লোক সমাগম এড়িয়ে চলার ব্যাপারে সরকারের কড়া নির্দেশনা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ তাদের এলাকার গলিগুলোতে সময় কাটাচ্ছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ০৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ বলেন, তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তবে সাধারণরা নির্দেশনা কেউ মানছেন আবার কেউ মানছে না । তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এজন্য জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সিলেট জালালাবাদ থানা ওসি অখিক উদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষ পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলছে। তাই তাদেরকে বাড়িতে রাখার কাজটি খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ কোনো কারণ ছাড়াই তারা বাসা থেকে বের হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাধারণ মানুষের বোঝা উচিত তাদেরকে বাড়িতে থাকার জন্যই সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। যদিও আমরা সাধারণ মানুষকে বিষয়টি বোঝানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছি, তবুও তারা নির্দেশনা যথাযথভাবে মানছে না। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সরকার গত ১৪ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সেই সাথে জনসমাগম সীমিত ও গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।