চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,
চট্টগ্রামে ফলের বৃহত্তম পাইকারি বাজার ফলমণ্ডিতে প্রায় দ্বিগুণ দামে মাল্টা বিক্রি বন্ধ হয়নি। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা থেকে বাঁচতে ভুয়া ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে প্রতি কেজি মাল্টার দাম ১০০ টাকায় বিক্রির তথ্য সংরক্ষণ করা হলেও আসলে তা বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়
আজ ৫ মে মঙ্গলবার ফলমণ্ডিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাল্টা ব্যবসায়ীদের অভিনব কারসাজি ধরা পড়ে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানে মাল্টার দাম খুচরো পর্যায়ে যাচাই করতে রিয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযান পরিচালনা হয়। সেখানে কয়েকজন বিক্রেতা জানান, তারা এখনো ফলমণ্ডি থেকে কেজি প্রতি ১৫০ -১৬০ টাকায় মাল্টা কিনছেন।
‘খুচরো বিক্রেতাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ফলমণ্ডিতে ফের অভিযানে যাই। এ সময় ফলমণ্ডিতে মাল্টার আড়তদারদের ভুয়া ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে বেশি দামে মাল্টা বিক্রির কারসাজির বিষয়টি ধরা পড়ে।’
ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, প্রতি কেজি মাল্টা ৬৫- ৭০ টাকায় আমদানি করে ফলমণ্ডিতে তা ৮০- ৮৫ টাকায় এবং খুচরো পর্যায়ে ৯০ -৯৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু আমদানিকারক এবং ফলমণ্ডির আড়তদাররা মিলে মাল্টার দাম ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছেন।
তিনি বলেন, ফলমণ্ডিতে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে সোয়া লাখ টাকা জরিমানার পর আড়তদাররা কেজি প্রতি মাল্টা ১০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন।’ মূলত ভ্রাম্যমাণ আদালতের চোখ ফাঁকি দিতেই তারা মাল্টা বিক্রির এইসব ভুয়া ক্যাশ মেমো তৈরে করছিলেন।’
অভিযানে ভুয়া ক্যাশ মেমো তৈরি করে দ্বিগুণ দামে মাল্টা বিক্রির দায়ে মাল্টার আড়তদার আল আমিন ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে কয়েকজন আড়তদার পালিয়ে যান।
এই অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী সহ সেনা ও পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।