শ্রমিক লীগের প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীর আজ( ৭মে। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে সকলের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকীর সকল অনুষ্টান স্হগিত করেছেন তার পুত্র যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এম,পি।
বুধবার (৬ মে) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহ’র স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আমার পিতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির শাহাদাত বার্ষিকীর সকল ধরনের আনুষ্ঠানিকতা করোনা ভাইরাসের কারণে স্থগিত করা হয়েছে। আমি সকলকে কবরস্থানে না এসে বাসায় থেকে আমার পিতার জন্য দোয়া করতে বিনীত অনুরোধ করছি।
সকল ধরনের আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হলেও টঙ্গী-গাজীপুর-২ আসনের সর্বত্র সকাল থেকে দিনব্যাপী দুস্থ-গরিব-দুঃখী ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তার উপহার সামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করা হবে। খাদ্য সহায়তা উপহার সামগ্রীর ১০ কেজি প্যাকেটের মধ্যে রয়েছে- চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ ও সাবান।
জানানো হয়, প্রায় ১০ হাজার পরিবারের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত পূর্বক পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রামের বাড়ি হায়দ্রাবাদে মরহুমের মাজার প্রাঙ্গনে ৭ জন কোরানে হাফেজের সমন্বয়ে শুধু কোরানখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও স্কুল মাঠে জনসভা চলাকালে জুমা আজানের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে প্রকাশ্যে দিবালোকে চলতি সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপিকে গুলি করে হত্যা করে। ওই হত্যা মামলার রায়ে ২০০৫ সালের ১৬ মে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আবেদনের শুনানি শেষে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে ১১ জনকে খালাস দেন আদালত।
আহসান উল্লাহ মাস্টার টঙ্গী-গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। মরহুম আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।