মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার ও অন্যকে রক্ষার স্বার্থে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে সহমত পোষন হয়েছেন কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা।
একই সাথে তারা দোকান ভাড়া মওকুফের ব্যাপারে মার্কেট মালিকদের সাথে আলাপ করেন। মার্কেট মালিকরা ভাড়া মওকুফের বিষয়টি পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
আজ শনিবার ৯ মে বিকাল তিনটার সময় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উক্ত নির্দেশনা অমান্য করে যদি কেউ দোকান খোলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানদার, ব্যবসায়ীদের নিয়ে শহরের বড়বাজার নূর মোহাম্মদ কমপ্লেক্সে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভার সভাপতির বক্তব্যে রফিক মাহমুদ বলেন, আমরা অনেকেই সরকারী সিদ্ধান্ত মানছি না। নিজের জীবনের চেয়ে অর্থকে উপার্জনকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। যে কারণে আমরা প্রতিটা সময় বেশি ঝুঁকির দিকে এগোচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মাকেটের কোন কর্মচারী সরকারী বা বেসরকারি প্রনোদনা পায় নি। অনেক ব্যবসায়ী আর্থিক কষ্টে রয়েছে। নিজেদের ও দেশের জনস্বার্থে রবিবার (১০ মে) থেকে অন্তত আর কয়েক দিন দোকান বন্ধ রাখতে ব্যবসায়ীদেরকে অনুরোধ করেন রফিক মাহমুদ।
এই সভার প্রারম্ভে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল। তিনি বলেন, কক্সবাজারে ২০ হাজারের ও অধিক ব্যবসায়ী রয়েছে। তারা এখনো কোন সাহায্য সহযোগিতা পায় নি। শ্রমিক-কর্মচারীদের আর্থিক ও মানবিক দিক বিবেচনা করে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে থাকতে আহব্বান করেন জেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়রকে।
আলোচনা সভায় দিক নির্দেশনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন- কার্যকরী সভাপতি নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি মিজানুর রহমান, সহসভাপতি মোহাম্মদ আলম সওদাগর, মাহমুদুল হক।
সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন সুমনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ ফরহাদ, ব্যবসায়ী নেতা হাবিবুর রহমান, জাহেদুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান কাজল, অলি আহমদ জিয়া, মুহাম্মদ ফরিদ, কামাল উদ্দিন, তৌহিদুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, আবদুল মান্নান, জহিরুল ইসলাম, মহি উদ্দিন ভুট্টো, সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ ওসমান, মোহাম্মদ হাসনাত, আবু আহমদ।
উক্ত সভায় আগামী অন্তত তিন মাসের ভাড়া মওকুফের ব্যাপারে মার্কেট মালিদের সাথে আলোচনা করার ও সিদ্ধান্ত হয়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।
উল্লেখ্য: সভায় জানানো হয়েছে- ভাড়া মওকুফ চেয়ে মার্কেট মালিকদের কাছে লিখিত দরখাস্ত করবে ব্যবসায়ীরা। যার যার মার্কেটের দায়িত্ব তাকে নিতে হবে।