পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বাঁশখালীতে জহিরুল ইসলাম নামে এক ট্রাক চালক নিহত হয়েছে। হামলার এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৮ জন।
মঙ্গলবার (১২ মে) সকালে উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাধনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে । পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা আটক করতে পারেনি।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সাধনপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড়ের দক্ষিণ সাধনপুর আশরাফ আলীর বাড়ি এলাকায় পুর্বের বিরোধের জের ধরে সোমবার রাতে দিদারুল আলম ঝুন্টু (৪৫) ও তার ছেলে তানজিব হোসেনের (১৯) উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় আহত তানজিবকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দিদারুল আলম ঝন্টু ও তার ছেলে রবিউল আউয়ালকে নিয়ে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে আসার খবর পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন রাতে আবারো হামলা চালায়। এতে বাড়িতে থাকা লোকজনকে হামলা করে , বাড়ির মালামাল সহ ৭-৮ লাখ টাকা লুট করে। পরে অভিযোগ করা হয়েছে বলে আজ মঙ্গলবার সকালে পুনরায় আবারো হামলা করে। হামলায় জহিরুল ইসলাম (৩৫), জামাল (৫০), রবিউল (২০), তানজির(১৯) সাজ্জাদ (১৭) ইশরাতুল জন্নাত(১৫) কাউচার জাহান (১৬) আহত হয়।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত জহিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে কালীপুর ইউপির গুনাগুরীস্থ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রামে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।। সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে রওনা হয়ে গুনাগুরী বাসাইন্যার দোকান নামক স্থানে স্থানীয় বিএনপির নেতা আবদুল হকের বাড়ির সামনে পৌঁছলে এ্যাম্বুলেন্স এর গতিরোধ করে সেখানে পুনরায় হামলা চালায়। এ সময় জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মৃত্যু বরণ করে।
এ ব্যাপারে নিহত জহিরুল ইসলামের ভাইপো রবিউল আউয়াল জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমি ও আমার চাচা ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবসা করে আসছি। বিগত (৫ মে) ২০২০ ইং রাতে গুনাগুরী থেকে নিজ বাড়িতে আসার পথে নুরুল মোস্তফা ও রহিম দুজন আমাকে হামলা করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং আমি আহত হয়ে চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি । গতকাল রাতে বাড়ি ফিরে মামলা করার জন্য থানায় যাওয়ার খবর পেয়ে বাড়ির সামনে হামলা করে তাতে আমার ছোট ভাই তানজিব ও বাবাকে আহত করে। তানজিবকে চট্টগ্রামে চমেকে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে আমি এবং বাবা থানায় গেলে রাতে নেজাম উদ্দিন, মনির আহমদ, ইয়াছিন, ইলিয়াস,ও বিএনপি নেতা আবদুল হকের নেতৃত্বে সংঘবন্ধ হয়ে হামলা করে। মঙ্ঘলবার সকাল ৮টায় আবারো হামলা চালালে জহিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। তাকে গুনাগুরী মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশংকাজনক চট্টগ্রামে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে এ্যাম্বুলেন্স গতিরোধ করে হামলা চালালে ঘটনাস্থলে আমার চাচা জহির মৃত্যুবরণ করে বলে সে জানায় ।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার টাইমনাও২৪.কম কে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।