করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ জনিত মহামারীর প্রেক্ষিতে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে শারীরিক ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে একমাত্র আমাদের ব্যক্তিগত সচেতনতাই আমাদের নিজেকে আমাদের পরিবারকে আমাদের সমাজকে এবং আমাদের দেশকে করোনা ভাইরাস মহামারী মুক্ত নিরাপদ রাখতে পারে।
কিন্তু এই শারীরিক এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে আমরা যেনো রক্তের সম্পর্কের মানবিক দুরত্ব তৈরি না করি।যেমন খবরে যখন দেখি হাসপাতালে বাবার লাশ ফেলে ছেলেরা পালিয়েছে এবং সিঁড়িতে বাবা লাশ পড়ে আছে কিন্তু কেউ ধরছেনা, নিজের রক্তের সম্পর্কের কাউকে কবরস্থ করার সময় রক্তের সম্পর্কের কেউ থাকেনা এগুলো আমার নিকট অমানবিক আচরণ বলে মনে হয়।
কারণ যে মানুষটি সারাটা জীবন নিজে না খেয়ে আপনাদের খাইয়েছেন নিজে না পড়ে আপনাদের পড়িয়েছেন নিজের সুখ এবং শান্তির বিনিময়ে আপনাদের সুখী করার চেষ্টা করেছেন আজ তার শেষ যাত্রায় আপনারা কেউ নেই এত নিষ্ঠুর আমরা কি ভাবে হই।
ডাক্তারেরা যে ভাবে আপনার আপনজনকে নিজের সুরক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন ঠিক অনুরুপ ভাবে ব্যক্তিগত সুরক্ষার মাধ্যমে আপনিও আপনার আপনজনকে সেবা সুস্থতা এবং জানাজা দিয়ে কবরস্থ করতে পারবেন। করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষিতে কোন ভাবেই যেনো আমরা আমাদের আপনজনদের ছেড়ে অমানবিক ভাবে পালিয়ে না যাই।
সবাই সুস্থ থাকুন নিরাপদ থাকুন এবং অন্যকেও সুস্থ রাখুন নিরাপদ রাখুন। মহান আল্লাহ আমাদের সহায়।সুস্থ সুন্দর করোনা ভাইরাস মুক্ত আগামীর প্রত্যাশায়।
আহমেদ উল্লাহ (বীর মুক্তিযোদ্ধা)
২৯ নং চট্রগ্রাম শহর গেরিলা গ্রুপ
(শহীদ এম এ জিন্না গ্রুপ)
চট্রগ্রাম।