করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে টানা সাধারণ ছুটিতে শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশা এখন চরমে। বিশেষ করে রিক্সাওয়ালা, হকার কিংবা সরকারের ট্রেড লাইসেন্স ও শ্রম আইনের অধীনে নেই এরকম অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কয়েক কোটি শ্রমজীবী এখন ভবিষ্যত নিয়ে অন্ধকারে।
এসব শ্রমজীবী কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেহেতু সরাসরি সরকারি আর্থিক প্রণোদনার আওতায় নেই আবার শ্রম আইনের বাইরে থাকায় পেনশন কিংবা ন্যুনতম ক্ষতিপূরণের সুযোগও নেই।
ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে করোনা পরিস্থিতিতে আয় হারিয়ে এসব মানুষ এখন টিকে আছেন কিভাবে?
তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা, গাজীপুর হিন্দু মহাজোট এর নেতা কর্মীরা। আজ সোমবার(১৮মে) কালীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু মহাজোট এর পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারের মধ্যে বৈশাখি উপহার সামগ্রী বিতরন করা হয়।কালীগঞ্জ উপজেলার শিংলাব সার্বজনীন শ্রী শ্রী লক্ষী মন্দিরে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আজ এসব উপহার সামগ্রি বিতরন করা হয়। উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল,ঢাল,আলু,ডিম,পেয়াঁজ প্রভৃতি।
এসব উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু মহাজোট এর সভাপতি অধ্যাপক সমরঞ্জন দাস, নির্বাহী সভাপতি সত্যরঞ্জন দাস শীতল,সাধারন সম্পাদক সুদেব চন্দ্র দাস,সাংগঠনিক সম্পাদক রাজকুমার রবি দাস,পূজা বিষয়ক সম্পাদক অনিল চন্দ্র দাস, প্রচার সম্পাদক শংকর চন্দ্র বাউল প্রমুখ।
সমরঞ্জন দাস বলেন কেন্দ্রীয় হিন্দু মহাজোট এর সভাপতি বিধান বিহারি গোস্বামী ও মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক দাদার নির্দেশে আমরা আমাদের সামর্থ অনুযায়ী অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাড়িয়েছি।বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ একটি সংকটময় মুহূর্তে রয়েছে আমরা আমাদের নিজেস্ব অর্থায়নে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছি, আমাদের দেশে এমন অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি আছে আমি তাদের প্রতি আহব্বান করব তারা যাতে স্ব-স্ব জায়গায় থেকে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাড়িয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু মহাজোট এর সাধারন সম্পাদক সুদেব চন্দ্র দাস বলেন মানব ধর্মই শ্রেষ্ট ধর্ম কে হিন্দু কে মুসলিম,খ্রিস্টান,বৌন্ধ সেটা মৌখ না। আমরা প্রত্যেকে মানুষ এটাই চিরন্তন সত্য। আমরা কালীগঞ্জের মানুষ সর্বদাই একজন আরেকজনের বীপদে সহঅবস্হানে বসবাস করি। তারই ফলস্তুতিতে আজ কিন্তু আমরা সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে বৈশাখিরউপহার সামগ্রি বিতরন করেছি। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যেগে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছি যদি সরকারি কোন সহায়তা পেতাম তাহলে আমাদের কালীগঞ্জের প্রতিটা ইউনিয়নে আমাদের এই উপহার সামগ্রী বিতরন করতে পারতাম।
আমরা কালীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু মহাজোট বরাবরই মানব কল্যানে কাজ করি, আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন আমরা বাংলাদেশে প্রথম হিন্দু মহাজোট এর পক্ষ থেকে ধান কাটা কর্মসূচি গ্রহন করি তা এখনও চলমান আছে। আমাদের কর্মকান্ডে উৎসাহ পেয়ে এখন সারা বাংলাদেশের হিন্দু মহাজোট এর কর্মীরা ধান কাটছে। তাছাড়া এখন বাংলাদেশে অনেক সংগঠন ধান কাটা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আমরা বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট দেশের প্রতিটা দৃর্যোগকালীন মুহূর্তে জনগনের পাশে ছিলাম এখনও আছি ভবিষ্যতেও থাকব।