মাস্ক ব্যবহারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক কম থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে বের হলে, এমনকী ঘরেও মাস্ক পরার ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। দ্য প্রসিডিংস অফ ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেসে (পিএনএএস) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানিরা জানান, করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তার রোধে কোনো কোনো সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও বাসায় থাকার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় মাস্ক পরিধান করা।
এ কারণে বেশিরভাগ দেশে লকডাউন উঠে গেলেও মাস্ক পরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে মাস্ক পরা যেমন জরুরি, এটি পরিষ্কার করাটাও কিন্তু ততটাই জরুরি। কিন্তু অনেকেই সেটা করছেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্জিক্যাল মাস্ক একবার পরেই ফেলে দিতে হয়। তাদের মতে, সুতির কাপড় বা টেরিলিন কাপড়ের তৈরি মাস্ক সাধারণ মানুষের জন্য বেশি কার্যকর। তবে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। তবে চাইলে তারাও সুতির বা টেরিলিন কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ধরনের মাস্ক ব্যবহারের পর প্রতিদিনই তা ধুয়ে দেয়া জরুরি।
মাস্ক পরিষ্কার করবেন যেভাবে-
১. মাস্কে সরাসরি হাত দেবেন না। ঘরে ফেরার পর মাস্কের দড়ি, ফিতে বা রাবার ব্যান্ডের অংশ ধরে খুলুন।
২. সাবান বা ডিটারজেন্ট মেশানো পানিতে মাস্কটি ভিজিয়ে ধুতে পারেন।
৩. মাস্ক ধোয়ার পর জীবাণুনাশক লোশনে ডুবিয়ে ছাদের কোনো আংটায় বা বারান্দার দড়িতে ঝুলিয়ে রাখুন। কড়া রোদে শুকাতে পারলে ভালো হয়। কারণ রোদে ভাইরাসের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে।
৪. গরম পানিতে মাস্ক ফুটিয়ে নিতে পারেন। এতে জীবাণুমুক্ত হবে মাস্ক।
৫. শুকানোর সময় মাস্কের মূল অংশে যেন ধুলোবালি লেগে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
৬. শুকানোর পর মাস্কটি ইস্ত্রি করে নিলেই সেটি আবার ব্যবহারের উপযোগী হবে।
৭. ভালোভাবে না শুকিয়ে ভেজা মাস্ক পরা ঠিক নয়। এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।